সুখ অসুখ ।। কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়

অনেকক্ষণ থেকে রিকিকে কোথাও দেখতে না পেয়ে উশখুশ করে খানিকটা আপনমনেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, ‘রিকি কোথায় গেল?’ আর আমার গলাটা ঠিক শুনে ফেলল বিনীতা আন্টি।

মুখ টিপে হেসে চোখ পাকিয়ে বলল, “তুই তো এক দম বউকে চোখে হারাচ্ছিস। তোর বউটা কি আর ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে?” লজ্জা পেলাম।

ছোট পিসির ড্রয়িং রুমটা এখন একদম জমজমাট। সোফায় একটাও বসার জায়গা খালি নেই। জেঠু থেকে ছোটকাকা, আমাদের গোটা ফ্যামিলিকেই ছোটপিসি আজ নেমন্তন্ন করেছে। উপলক্ষ্য আমি আর রিকি।

আমাদের বিয়ের পর জোড়ে নেমন্তন্ন। আমাদের গোটা পরিবার ছাড়া, ছোটপিসি ওর হরিহর আত্মা বন্ধু বিনীতা আন্টিকেও ডেকেছে। আমাদের পরিবারে বড়দের সঙ্গে ছোটদের সম্পর্কটা একটু ফর্মাল গোছের।

বড়রা ছোটদের পেছনে লাগে না। নতুন বউকে নিয়ে চটুল মন্তব্যের প্রশ্নই ওঠে না। তাই জেঠু কাকুরা বিনীতা আন্টির কথা না শোনার ভান করল। আমিও অস্বস্তি এড়াতে সোফা ছেড়ে উঠে গেলাম।

.

.

.

.

গুগল পৃথিবীর সব সমস্যার উত্তর এখনও খুঁজে দিতে পারেনি। গুগল জানে না ভালবাসার শক্তি কতটা। আমার দু’সপ্তাহের সুখের এপিসোডটাকে আমি সারা জীবনের এপিসোড করবই।

Krishnendu Mukhopadhyay Books, Latest Bangla Pdf, Latest Krishnendu Mukhopadhyay Books, Krishnendu Mukhopadhyay New Ebooks, Krishnendu Mukhopadhyay Latest Pdf, Indian Writer Krishnendu Mukhopadhyay Books, Krishnendu Mukhopadhyay Latest Ebooks, Indian, Bangladeshi Ebooks, Latest Ebooks, New Ebooks, Latest Pdf, New Pdf, Free Download Krishnendu Mukhopadhyay Books, Krishnendu Mukhopadhyay Books Collection, Famous Bengali Writer Krishnendu Mukhopadhyay Ebooks Collection, Bangla PDF Collction, Krishnendu Mukhopadhyay Books. Be Happy Free Book Download !!!

Continue reading

তেইশ ঘন্টা ।। কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়

একটা ঘোরের মধ্যে সমুদ্রের ধারে চলে এল অনিন্দ্য। বিশাখাপত্তনম থেকে ছ’কিলোমিটার দূরের এই জায়গাটার প্রাকৃতিক দৃশ্যের কোনও তুলনা হয় না। পাথুরে সি বিচের এদিকে তেমন কেউ আসে না। বিচের উপর ছোট-বড় নানা সাইজের পাথরগুলো পেরিয়ে একদিকে খাড়া হয়ে রয়েছে বেশ উঁচু একটা টিলা। টিলার পাদদেশে সমুদ্রের উদ্দাম ঢেউগুলো অবিশ্রান্তভাবে আছড়ে-পিছড়ে ধুয়ে দিচ্ছে। এখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। অনেক দূরে সমুদ্র আর আকাশ যেখানে এক সরলরেখায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, সূর্য সেখানে সবে ডুবতে বসেছে। চারদিকের আলো-আঁধারি পৃথিবী অল্প-অল্প করে অদ্ভুত এক সিল্যুটে বদলে যাচ্ছে। ভাললাগার রেশটা আরও অনেকক্ষণ জিইয়ে রাখতে হাত ছড়িয়ে বসে পড়ল অনিন্দ্য। আর মাত্র তেইশ ঘণ্টা। কাল সাড়ে চারটের সময় এখানেই অনিন্দ্যর স্বপ্নপূরণ হবে। অনিন্দ্য একটা সম্মোহনের মধ্যে আছে।

 

 

 

Krishnendu Mukhopadhyay Books, Latest Bangla Pdf, Latest Krishnendu Mukhopadhyay Books, Krishnendu Mukhopadhyay New Ebooks, Krishnendu Mukhopadhyay Latest Pdf, Indian Writer Krishnendu Mukhopadhyay Books, Krishnendu Mukhopadhyay Latest Ebooks, Indian, Bangladeshi Ebooks, Latest Ebooks, New Ebooks, Latest Pdf, New Pdf, Free Download Krishnendu Mukhopadhyay Books, Krishnendu Mukhopadhyay Books Collection, Famous Bengali Writer Krishnendu Mukhopadhyay Ebooks Collection, Bangla PDF Collction, Krishnendu Mukhopadhyay Books. Be Happy Free Book Download !!!

Continue reading

তর্পণ ।। অ ভি জি ৎ ত র ফ দা র

বারান্দায় ভিজে জামাকাপড় শুকোতে দিচ্ছিল পলা। বেল বাজল। পরপর দু’বার। বিরতি। আবার দু’বার। হাত থেমে গেল। চেনা, ভীষণ চেনা এই বেল বাজানো। কার যেন? ভাবতে ভাবতে দরজা অবধি পৌঁছে গেল পলা। ছিটকিনি নামিয়ে দরজা খুলল। মুখোমুখি। মাঝখানে চৌকাঠ। এবং অনেকগুলো বছর।
কেন এসেছে ও? আজকের দিনটাতেই?

‘আসতে পারি?’

পিছন ফিরল পলা। হাত দিয়ে ড্রয়িংরুমের সোফা দেখিয়ে দিল। প্রায় নিঃশব্দে দরজা বন্ধ করে, বড় সোফাটার এক কোনায়, সন্তর্পণে, যেন এতটুকুও দাগ না ফেলে বসল রিনি।

পলা ভেতরে চলে গেল। শোওয়ার ঘরে। রণ-র ছবির সামনে দাঁড়াল। কাল রাতেই ছবিটা মুছেছে, চন্দনের ফোঁটা দিয়েছে। ধূপ জ্বালিয়েছিল সকালে। ধূপটা পুড়তে পুড়তে শেষ হয়ে এসেছে, ছাই পড়ছে নিচে। কী মনে হল, ধূপদানিটা সরিয়ে রাখল।

কেন এসেছে ও? কোনও বোঝাপড়া? কোনও না-মেলা উত্তরের সন্ধান? কিন্তু সে তো কবেই চুকেবুকে গেছে!

ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে অগোছালো চুল সমান করতে গিয়ে দেখল হাত কাঁপছে। ড্রয়িংরুমে ঢুকে মুখোমুখি বসল।

‘তারপর? বহুদিন পর দেখা। কেমন আছ?’

‘চলে যাচ্ছে, তোমাদের খবর?’

‘আমার খবর তো শুনেছ নিশ্চয়ই। মিঠিয়া বেঙ্গালুরু, ইঞ্জিনিয়ারিং, থার্ড ইয়ার। পম নরেন্দ্রপুরে। হস্টেলে থাকে।… তোমাদের সেই এনজিও? বারাসত না কোথায় যেন?’

‘বারাসত পেরিয়ে। আরও বড় হয়েছে। পাশের জমিটায় নতুন বিল্ডিং হচ্ছে।… পারলে একদিন এসো।’

পলা কথা খুঁজল। তারপর বলল, ‘কত জায়গাতেই তো যাব ভাবি। হয়ে ওঠে না। সময় পাই না তা বলব না। এখন তো অঢেল সময়। কী জানো তো, ইচ্ছে করে না। কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না, একটা সিনেমা দেখতে ইচ্ছে করে না, ভাল বই পড়তে ইচ্ছে করে না। ইচ্ছে বলে যে কিছু ছিল জীবনে, মনেই পড়ে না।’

নীল রঙের রাত্রি ।। সুব্রত নিয়োগী

তখন রাত প্রায় আটটা। হাউসিং কমপ্লেক্সের ছোট ছোট ফ্ল্যাটগুলোর জানালায় জানালায় আলো। বাইরে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে দুরন্ত বাতাস। বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বাড়ছে। জানালার কাচে সশব্দে ফেটে পড়ছে বৃষ্টির অসংখ্য বড়-বড় ফোঁটা।
মেঘা রান্নাঘরে। সিঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে ছোট ছুরি দিয়ে পমফ্রেট মাছের পেট থেকে নাড়িভুড়ি বের করছিল। গ্যাস আভেনের উপর নন-স্টিক প্যানে জল ফুটে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি তাকে খাবারের ডিশটা তৈরি করে দিতে হবে।
বসার ঘরে চল্লিশ-ঊর্ধ্ব এক যুবাপুরুষ কোলে ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় বসে আছে। ফরসা গালে দু-তিন দিনের বাসি দাড়িতে বেশ ম্যানলি দেখাচ্ছে তাকে। পুরুষটি কি-বোর্ডের বোতাম টিপতে টিপতে গলা উঁচিয়ে বলে ওঠে, “ওয়ান সেকেন্ড মেঘা, দাঁড়াও, ইনবক্সটা চেক করে নিই একটু।”
মেঘা পিছন দিকে না তাকিয়েই বলে, “শল্য, তুমি এখন কোথায় আছ?”
লোকটা কি-বোর্ড থেকে মাথা না তুলে উত্তর দেয়, “কেন, এখন তো আমার কোনও দায় নেই, দায়িত্বও নেই। যেখানে খুশি আমি থাকতে পারি। বলতে পার একেবারে ফ্রি।”
“ড্রিঙ্ক করা কমিয়েছ?”
“না, তা আর পারলাম কই?”
“তবে এসেছ কেন এতদিন পরে? শুধু আমি ডেকেছি বলে?”
“বলতে পার কিছুটা তাই। তোমাকে দেখার একটা লোভ তো ছিলই। একটা মেয়েকে পুরোপুরি চেনা যায় তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে। মানে বিচ্ছেদ হলে। বিয়েতে তো চেনাই যায় না। প্রায়ই ভুল চেনা হয়ে যায়। তার মাশুল দিয়ে যেতে হয় সারা জীবন। তা ছাড়া আপ্তিকেও কতদিন দেখি না। শুধু জানি, ও হস্টেলে থাকে।”
“দ্যাখো…”
ঘুরে দাঁড়িয়ে কী একটা বলতে যাচ্ছিল মেঘা। তখনই দেখে শল্য নামে পুরুষটি কখন রান্নাঘরে এসে দাঁড়িয়েছে ঠিক তার পিছনে।
মেঘার হাতে মাছ কাটার ধারালো ছুরি রক্তে মাখা।
বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। তখনই বাইরের করিডোরে জুতোর আওয়াজ শোনা গেল। পাশের ফ্ল্যাটের দরজা খোলার শব্দ। মুহূর্তের মধ্যে হিন্দি সিনেমার আইটেম সং ভেসে আসে। জোরে মিউজিক চালিয়ে দিয়েছে কেউ।
দু’জনেই চুপ। কেউ-ই আর কথা বলছিল না। শল্য আভেনে ফুটতে থাকা জলের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মজা করে বাঁ হাত দিয়ে গ্যাসের নব ঘুরিয়ে আগুনের শিখা বাড়িয়ে দিল।
মেঘা দ্রুত এসে আবার কমিয়ে দিল আগুন, “কী করছ কী! সেই একইরকম রয়ে গেলে?”
লোকটা হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে, “কী রান্না করছ?”
“মাছ।”
“কী মাছ? নিশ্চয়ই পমফ্রেট মাছ নয়?”
“হ্যাঁ, পমফ্রেট-ই।”
“কতদিন পমফ্রেট মাছ খাওয়া হয় না!”
মেঘার ফরসা বুকের মাঝখানে বিভাজিকার উপর একটা হারের লকেট। সেই দিকে তাকিয়ে আছে লোকটা।
মেঘা হাউস কোটের কলার দিয়ে নেকলাইন ঢেকে দেয়। কোমরে বাঁধা আঁটসাঁট বেল্টটা আলগা করে নেয় একটু।
লোকটা সহজ ভঙ্গিতে বলে, “তারপর, হাউ ইজ লাইফ?”
মেঘার মুখে হাসির রেখা। সেই হাসির রেশ নিয়েই বলে, “কী দেখছ?”
“দেখছি, তুমি এতবছরে কতটা পালটেছ।”
রাস্তা থেকে ভেসে আসছে অস্পষ্ট গাড়ির হর্ন। মাঝে-মাঝে ভারী রাস্তা কাঁপিয়ে চলে যায়। লোকটা মেঘার খুব কাছে চলে এসেছে। কেঁপে ওঠে মেঘা সহসা। এখনই হয়তো ছুঁয়ে ফেলবে ওকে।

Subrata Niyogi Books, Latest Bangla PDF, Latest Subrata Niyogi Books, Subrata Niyogi New EBooks, Subrata Niyogi Latest PDF, Famous Writer Subrata Niyogi Books, Subrata Niyogi Latest EBooks, Indian, Bangladeshi E Books, Latest E Books, New EBooks, Latest PDF, New PDF, Free Download Subrata Niyogi Books, Subrata Niyogi Books Collection, Famous Bengali Writer Subrata Niyogi E Books Collection, Bangle PDF Collection, Subrata Niyogi Books. All Credit Goes to Original Uploader. Free Book Download From Here!!!

প্রথম রিপু ।। অ নি র্বা ণ জা না

অনুপম কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দরদর করে ঘামছিল। আজ প্রথম নয়, সরকারি ডাক্তার বলে প্রায়ই তাকে কোর্টে হাজির হতে হয়। অনুপমের ক্লস্ট্রোফোবিয়া আছে— ঘেরা জায়গায় দমবন্ধ হয়ে আসে। মনটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য জানালার বাইরের দিকে তাকায় অনুপম। একটা কৃষ্ণচূড়ার ডাল প্রায় জানালা ছুঁয়েছে। সেই ডালে বসে একটা একা কাক ঘাড় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে অনুপমকে দেখছে আর কা-কা করে ডাকছে। অনুপম কি কারও কাকা হয়? অনুপম তো এক সন্তান! দূর সম্পর্কের এক ভাইপো আছে বটে— জেঠতুতো দাদার ছেলে। কিন্তু সে তো আমেরিকায় থাকে। সে তো সাহেবদের মতো ফরসা আর ভরদুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ডালেই-বা সে বসতে যাবে কেন?
“কী হল, উত্তর দিচ্ছেন না কেন?” ডিফেন্সের উকিলের বাঘা চিৎকারে ভাবনাটা কেটে গেল অনুপমের। আজ যেন একটু বেশিই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আড়চোখে তাকিয়ে দেখে আসামিদের ঘেরাটোপে মধ্যবয়সি এক পুরুষ বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দু-চারটে মোটা সোনার চেন তার শার্টের ওপরের বোতামের পাশ দিয়ে অহেতুক কৌতূহল নিয়ে উকি মারছে। ভদ্রলোক স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেত্রীর স্বামী। এজলাসে সেই জন্য আজ বেশ কিছু ষন্ডাগন্ডা ছেলেপুলেদের ভিড়। এদেরই মধ্যে কেউ হয়তো কাল রাতে কিছুটা অনুরোধ আর বেশিটা ভয় দেখিয়ে ফোন করেছিল।
এরকম ফোন অবশ্য প্রায়ই অনুপমকে পেতে হয়। অস্বীকার করে লাভ নেই, হাত-পা একটু পেটের ভেতর সেঁধোয় বটেই। কিন্তু অভিজ্ঞতায় জানে, যা সে রিপোর্টে লিখেছে তার বাইরে বলতে গেলে বিপদই বেশি। এ যেন দু’দিকে ধার দেওয়া তলোয়ার।
উকিলের প্রশ্নটার কোনও উত্তর হয় না। সরকারি হাসপাতালের প্রতিটা জায়গায় ফরেনসিক অর্থাৎ পোস্ট মর্টেম করায় পারদর্শী ডাক্তারদের পোস্টিং দেওয়া সম্ভব নয়। তাই রোটেশন পদ্ধতিতে অন্য ডিপার্টমেন্টের ডাক্তার দিয়ে পোস্ট মর্টেম করিয়ে নেওয়া হয়। নাহ, অস্বীকার করে লাভ নেই যে, অনুপমের পোস্ট মর্টেম করার মতো কোনও ডিগ্রি নেই।
বিরোধী পক্ষের উকিল প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ে কথাটা লুফে নেয়, “ইওর অনার, এঁর পোস্ট মর্টেম করার কোনও যোগ্যতাই নেই আর দিয়ে দিয়েছেন রিপোর্ট! ওঁর রিপোর্টের ওপর নির্ভরকরে যে-রায় দেবেন, তাতে অহেতুক এক নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পেতে পারে,” গলাটা নামিয়ে চশমাটা নাকের ওপর ঠিকঠাক বসাতে বসাতে জজসাহেবের দিকে তাকিয়ে উকিলবাবু বলেন, “দেখবেন স্যার, ওঁর স্বীকারোক্তিটা যেন লেখা হয়।”
পি পি সাহেব অর্থাৎ সরকারি উকিলের দিকে তাকায় অনুপম। কোনও প্রতিবাদ নেই। আর অদ্ভুত ব্যাপার, উনিও জানালার বাইরের কাকটাকে দেখছেন। অনুপমের মনে হল, ‘কাকা’ রহস্যটা ভেদ করা গেছে। কাকটা এতক্ষণ ওঁকেই কাকা বলে ডাকছিল। ওঁর রংটাও বেশ চাপা ধরনের, কাকা ভাইপোর মিল তো থাকবেই।
এজলাসে কোথাও মেয়েটার বাবাকে চোখে পড়ে না। দূরের জিনিস ইদানীং কম দেখছে অনুপম।

Anirban Jana Books, Latest Bangla Pdf, Latest Anirban Jana Books, Anirban Jana New Ebooks, Anirban Jana Latest Pdf, Famous Writer Anirban Jana Books, Anirban Jana Latest Ebooks, Indian, Bangladeshi Ebooks, Latest Ebooks, New Ebooks, Latest Pdf, New Pdf, Free Download Anirban Jana Books, Anirban Jana Books Collection, Famous Bengali Writer Anirban Jana Ebooks Collection, Bangla PDF Collction, Anirban Jana Books. All Credit Goes to Original Uploader. Free Book Download From Here !!!

বিনি কলিং ।। নবনীতা দত্ত

একটা পুরনো মন্দির। খানিকটা অংশ ভাঙাচোরা। দেখলে মনে হয় যেন, একটা আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং অনেকদিন পড়ে আছে। মন্দিরটার মাঝে একটা ঘরে একটা বিশাল শিবলিঙ্গ, যার উচ্চতা একটা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি এবং চওড়ায় প্রায় থামের মতো। সেই শিবলিঙ্গ ঘিরে রেখেছে একটা প্রকান্ড জ্যান্ত সাপ। আমি শিবলিঙ্গটার কাছ থেকে সরে এসে এগিয়ে গেলাম ভাঙা জানালাটার দিকে। সেখানে গিয়ে দেখি বাইরে সমুদ্র। জানালাটা দিয়ে পা বাড়াতেই নেমে পড়লাম সমুদ্রতীরে। কিন্তু অদ্ভুত কান্ড, সমুদ্রতীরে বরফ জমে রয়েছে। চারপাশটা ধূসর সাদা। কোনও রং নেই। বরফের উপর থেকে যেন ধোঁয়া উঠছে। কয়েকটা লোক ভীষণ ব্যাস্তসমস্ত হয়ে কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ছে। আমি এগিয়ে যেতে দেখি, সমুদ্রের পাড় বরাবর বরফের উপর লাইন দিয়ে পড়ে আছে অনেকগুলো কফিন।